ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৯ মহররম ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

গাজায় দুর্ভিক্ষের ছায়া, ক্ষুধায় মারা যেতে পারে ৫ লাখ ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৪৪, মে ১২, ২০২৫
গাজায় দুর্ভিক্ষের ছায়া, ক্ষুধায় মারা যেতে পারে ৫ লাখ ফিলিস্তিনি গাজার নুসেইরাত এলাকায় খাবারের অপেক্ষায় শিশুরা

ইসরায়েলের অবরোধ গাজা উপত্যকাকে দুর্ভিক্ষের হুমকির মুখে ফেলেছে। সেখানে পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনি ক্ষুধার্ত অবস্থায় বেঁচে আছেন।

এমনটি জানিয়েছে এক পর্যবেক্ষণ সংস্থা।

সোমবার প্রকাশিত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিস) ইনিশিয়েটিভের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকা এখনো ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে। যুদ্ধে সেখানকার প্রায় ২১ লাখ মানুষের বিশাল একটি অংশ এখন চরম খাদ্যসংকটে রয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য জরুরি জীবনরক্ষাকারী পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করার পর প্রায় ৭০ দিন কেটে গেছে। টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো হয় ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে, না হয় আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।

এতে বলা হয়, গাজার সব মানুষই এখন মারাত্মক খাদ্যসংকটে আছে, আর প্রতি পাঁচজনের একজন— অর্থাৎ প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ—ক্ষুধায় মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে। এতে আরও বলা হয়েছে, গাজার প্রায় ৯৩ শতাংশ মানুষই তীব্র খাদ্য সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

গত অক্টোবরে প্রকাশিত আইপিসির আগের প্রতিবেদনের তুলনায় পরিস্থিতি এখন আরও খারাপ হয়েছে। এখন গাজার আরও বেশি মানুষ আরও চরম পর্যায়ের খাদ্য অনিরাপত্তার মধ্যে পড়েছে।

ইসরায়েলের অবরোধ যদি চলতে থাকে, তাহলে গাজার সব মানুষই ভয়াবহ খাদ্য সংকটে পড়বে। মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতি পাঁচজনের একজন মানুষ ক্ষুধায় মারা যেতে পারেন, এমন আশঙ্কা রয়েছে। গত সপ্তাহে গাজার কর্তৃপক্ষ জানায়, খাদ্যের অভাবে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৭ জন মারা গেছেন।  

গাজায় খাদ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। আইপিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারির পর থেকে গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর আল-বালাহ ও দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে গমের আটার দাম তিন হাজার শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সোমবার প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ৫২ হাজার ৮৬২ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।