ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ ভাদ্র ১৪৩২, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২৪ সফর ১৪৪৭

স্বাস্থ্য

রক্তচাপ বেশি?

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭:৩১, জুন ২৪, ২০২৫
রক্তচাপ বেশি?

সমীক্ষা জানাচ্ছে, দেশে প্রতি পাঁচজনে অন্তত একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তবে ৫৯ শতাংশ রোগীই জানেন না যে তারা গুরুতর এ সমস্যায় ভুগছেন।

মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ হলো ১২০/৮০ মিলিমিটার পারদ চাপ। সাধারণত রক্তচাপ যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, তাহলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলা হয়।

অর্থাৎ রক্তচাপ যখন ১৪০/৯০ মিলিমিটার পারদ চাপের বেশি হয়, তখন ওই অবস্থাকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনকে অনেক সময় অনেকেই ‘প্রেশার’ হিসেবে অভিহিত করেন।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্তচাপের তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। যে কারো যে কোনো সময়ই প্রেশার বেড়ে যেতে পারে। তবে স্থূলতা, অলস জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ইত্যাদি কারণে কমবয়সীদের মধ্যেও বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ। যদি উচ্চ রক্তচাপের কারণে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হয়, যেমন হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি বৈকল্য; তাহলে এসবের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বুক ধড়ফড় করা, মাথা ঘোরানো, মাথাব্যথা বা বমি ভাব হতে পারে।

হঠাৎ উচ্চ রক্তচাপ হলে দ্রুত কী করণীয়?

উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবনযাপন রুটিনের মধ্যে আনতে হবে। ওজন বেশি থাকলে তা কমাতে হবে, খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ অর্থাৎ পাতে লবণ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিতে হবে। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে, দিনে অন্তত ৩০ মিনিট জোরে হাঁটা উচিত এবং এভাবে হাঁটা উচিত সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন।

এ ছাড়া ধূমপান করা যাবে না। মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা থাকলে তা কমাতে হবে। এ অভ্যাসগুলো যারা এখনেও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হননি, তাদেরও থাকা উচিত।

অন্যদিকে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তি জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা সত্ত্বেও তার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না এলে তাকে ওষুধ সেবন করতে হবে এবং তা অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শমতো।

এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।