ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২৪ সফর ১৪৪৭

শিক্ষা

জাবিতে ভর্তি জালিয়াত চক্রের ৫ সদস্য আটক

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:৪৩, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
জাবিতে ভর্তি  জালিয়াত চক্রের ৫ সদস্য আটক আটক জালিয়াত চক্রের সদস্যরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি জালিয়াতের অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ ৫জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি জালিয়াতের অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ ৫জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

জানা যায়, কলা ও মানবিক অনুষদভুক্ত (সি ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকাতে মো. আলামিন পঞ্চম (রোল: ৩৪১০৪৫), মো. শাহরিয়ার কবির ১৪তম (রোল: ৩১৪৩৪৭) ও হাসিন ওয়াহিদুল তুষার ৪৩ তম (রোল: ৩৩০৯০৩) স্থান  পেয়ে উর্ত্তীণ হয়। এমনকি কৌশলে মোখিক পরীক্ষায়ও তারা উর্ত্তীণ হয়। কিন্তু বিপত্তি বাদে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) ভর্তি হতে আসলে।

তিনজনের মধ্যে শাহরিয়ার কবির ও হাসিন ওয়াহিদুল তুষার জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে এবং আলামিন দর্শন বিভাগে ভর্তি হতে যান।

ভর্তির সময় বাড়তি সতর্কতার জন্য তাদের হাতের লেখা পুনরায় যাচাই-বাছাই করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকরা। কিন্তু তিন পরীক্ষার্থীর কেউই উত্তরপত্রের হাতের লেখার সঙ্গে নিজেদের হাতের লেখা মেলাতে পারেনি। এর মধ্যে হাসিন ওয়াহিদুল তুষারের উত্তরপত্রে দেওয়া ফোন নম্বরটিও ছিল আরেকজনের।

পরে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা তিন জনই প্রক্সি সহায়তা নিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার কথা স্বীকার করেন। পরে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসে এনে দ্বিতীয় বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় হাসিন ওয়াহিদুল তুষারের দেওয়া তথ্যে বেরিয়ে আসে ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত থাকা জালিয়াতি চক্রের হোতাদের নাম। জিজ্ঞাসাবাদে তুষার বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪২তম ব্যাচের ছাত্র ও আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক এস এম শরীফ আহমেদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী নাজমুল হুদা তার সঙ্গে ৪ ল‍াখ টাকার চুক্তি করে। পরে শরীফ ও নাজমুলকে প্রক্টর অফিসে ডেকে আনা হলে নাজমুল তার একাউন্টে ৪ ল‍াখ টাকা জমা হয়েছে বলে স্বীকার করে। কিন্তু শরীফ বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ থাকায় আমরা আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করেছি।

একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহসিনুল কাদির বলেন, আমরা তাদেরকে কোর্টে চালান করে দিয়েছি।

গত ৫ ডিসেম্বর (সোমবার) বিভিন্ন ইউনিটে প্রক্সি দিয়ে ২ম, ৩য়, ৫ম ও ১৭৭ তম হওয়া চার শিক্ষার্থীকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।