ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২৪ সফর ১৪৪৭

শিক্ষা

কেসিসি উইমেন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছাত্রীদের ধর্মঘট

ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:০৩, ডিসেম্বর ১, ২০১৬
কেসিসি উইমেন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছাত্রীদের ধর্মঘট

বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে খুলনার কেসিসি উইমেন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুরাইয়া হোসাইন হাসির অপসারণ দাবিতে ধর্মঘট করছেন ছাত্রীরা।

খুলনা: বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে খুলনার কেসিসি উইমেন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুরাইয়া হোসাইন হাসির অপসারণ দাবিতে ধর্মঘট করছেন ছাত্রীরা।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) কর্তৃক পরিচালিত।

যা পদ্মার এ পাড়ে ছাত্রী সর্ববৃহৎ স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

গত কয়েক মাস ধরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত থাকলেও কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণে কালক্ষেপন করছে এমন অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে কলেজের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

ওই শিক্ষিকার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রীরা আন্দোলন অব্যাহত রাখবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে শনিবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
 
আন্দোলনরত ছাত্রী জেবা, শোভা,  চুমকি, ইমা, শিলা, ইতি, বৃষ্টি, নিনজা, সাদিয়া, লিমাসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুরাইয়া হোসাইন হাসি ক্লাসে সিলেবাস বহির্ভূত কাজ, ইচ্ছেমতো ক্লাস নেওয়া, গোপনে ড্রয়িং কোচিং করানো, লিখিত পরীক্ষার তারিখ বিবেচনা না করেই ব্যবহারিক পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ, তার নিজস্ব বুটিক হাউজ ‘তনিমা নিউ ফ্যাশন’ থেকে কাজ না করালে পুনরায় করতে বাধ্য করা, তার দোকানে প্রতিটি কাজের মূল্য দ্বিগুণ রাখা, ফটোশ্যুটসহ বিভিন্ন নামে অর্থ আদায়, ওয়ার্কশপের নামে টাকা নিয়েও তা না করা, নোটিশ ছাড়াই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া, একাধিকবার শিক্ষার্থীদের মার্কশিট হারিয়ে ফেলা, ল্যাব পরীক্ষার নামে সাবমিশন কাজ সরিয়ে ফেলা এবং ছাত্রীদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সর্বশেষ ২৭ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়। এ বিষয়ে এর আগে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শিক্ষিকা সুরাইয়া হোসাইন হাসি ক্লাস নিতে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করলে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়ে বের হয়ে এসে কলেজের সামনে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে ধর্মঘট শুরু করে।

ছাত্রীদের আন্দোলনের খবর পেয়ে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান এবং সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্য কলেজের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের শিক্ষক জিএম মকবুল হোসেন বলেন, তারা ২৭ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন সিটি মেয়রের কাছে জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বুধবার রাতে কলেজ গভর্নিং কমিটির সভা হয়েছে। সভা মুলতবি রয়েছে। শনিবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

এদিকে ছাত্রীদের অবস্থান ধর্মঘটের ফলে কলেজের সামনের খান জাহান আলী সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। কলেজের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৬
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।